নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলন জোয়ার-ভাটার মতো চলছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আমরা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি না। সে জন্য অনেক সময় আমাদের পালিয়ে যেতে হয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এদেশের মানুষ আইয়ুব খান, ব্রিটিশ ও স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জয়ী হয়েছে। এবারও জনগণের ইটের টুকরা ও লাঠির কাছে সরকারের বন্দুক, গুলি পরাজিত হবে।’
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘৭১ এর বুদ্ধিজীবী হত্যা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের প্রেক্ষাপট শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের প্রতিরোধে এ অবৈধ সরকারের পতন ঘটবে। দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে এ দেশের মানুষ কখনো চুপ করে বসে থাকবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’
সংবিধানের পরিবর্তন প্রসঙ্গে নোমান বলেন ‘শেখ হাসিনা সংবিধান পরিবর্তন করে বিশেষ কিছু ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। তবে আর বেশিদিন এভাবে দেশ চলবে না। আন্দোলন চলছে, খুব শিগগির জনগণের দাবির কাছে এই অবৈধ সরকারের পতন হবে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এ ভাইস- চেয়ারম্যান বলেন, ‘ দিনটি এদেশের মানুষ কালো দিবস মনে করে। কারণ এদিন জনগণকে ভোট দিতে না দিয়ে সরকার তার নিজস্ব এজেন্টদের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতি করে ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে। এটা কোন নির্বাচন ছিল না। এটা ছিল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। এর মাধ্যমে যে সরকার ও সংসদ গঠিত হয়েছে তা অবৈধ।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ হত্যা করা হচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ। ’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর কেউ তার পক্ষে কথা বলার মতো থাকবে না। কেউ আর আওয়ামী লীগ করবে না। শেখ মুজিব মৃত্যুর পর তোফায়েল, আমু, রাজ্জাক জানাজা পড়তে আসেননি। আওয়ামী লীগ তখন এতোটাই জনবিছিন্ন হয়ে গিয়েছিল যে তখন জনগণ দেখে তারা ভয় পেত। এখনও তাদের সে অবস্থা।’
১৯৭১ এবং ১৯৯০ সালে যে আন্দোলন হয়েছিল সামনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন করে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মত দেন শামসুজ্জামান দুদু।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।