আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার নেতারা লিবিয়াসহ ‘সাহেলঅঞ্চলে’ স্থিতিশীলতা আনয়নে আনুষ্ঠানিক ভাবে পশ্চিমের সহায়তা চেয়েছে। আফ্রিকার সাহারা মুরুভূমির উত্তর থেকে সুদানীয় সাভানার দক্ষিণ পর্যন্ত অঞ্চলটি সাহেল নামে পরিচিত।
১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত আফ্রিকার নিরাপত্তা সম্মেলনে, নেতারা ইউরোপীয় সংগঠন ন্যাটোর সহায়তা চান। তাদের ভাষ্য, অত্র এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের চালান- যা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ক্রমশঃ শক্তিশালী করে তুলছে- নিয়ন্ত্রণে ন্যাটো প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আলোচনায় লিবিয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসে দেশটিতে সন্ত্রাসবিরোধী চলমান যুদ্ধের সূত্র ধরে।এ মুহূর্তে লিবীয় প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল তিন্নির অনুগত সেনাদল স্থিতিশীলতা রক্ষায় অপ্রতুল শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ আল তিন্নি পশ্চিমসমর্থিত প্রধানমন্ত্রী। সাবেক মুয়াম্মার গাদ্দাফি যা ছিলেন না।
আফ্রিকার চাদ, নাইজার, মালি ও বারকিনা ফাসোও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমান সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোকে হুমকি হিসেবে দেখছে।
চাদের রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস দেবাই বলেন, ‘আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেয়া সমস্যাগুলোর সমাধান এখনআর আফ্রিকীয়দের হাতে নেই, বরং পশ্চিমাদের হাতে; বিশেষত, ন্যাটোই যোগ্যতম।এ মুহূর্তে লিবিয়া ক্রমেই সন্ত্রাসীদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। আমরা মনে করি ন্যাটো সেই কাজটি শেষ করবে, যা সে শুরু করেছিল, এখানে ন্যাটো দায়বদ্ধ।’
সম্মেলনে আফ্রিকার নেতারা আক্ষেপ করে বলেন, ‘পশ্চিমারা দীর্ঘদিনের লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন আন্দোলনে ঠিকই সঙ্গে ছিল।এখন তার মৃত্যুর পর, একরকম গা বাঁচাতেই যেন তারা আফ্রিকা থেকে নিজেদের অপসারিত করেছে।