স্পোর্টস ডেস্ক : বিদায়টা সব সময়ই করুন। সেটা যেভাবেই হোক। হয়তো গৌরবের। তাতে কী। এই চেনা মাঠ, এই চেনা উইকেটে যে আর কখনও খেলা হবে না! ব্যাট হাতে আর যে মাঠে নামবেন না দুই বন্ধু। নিজেদের মাটিতে রঙ্গিন পোষাকে শেষ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে মাহেলা জয়াবর্ধনে আর কুমারা সাঙ্গাকারার। সুতরাং বিদায় কলম্বো, বিদায় শ্রীলংকা ।
আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, এই বিশ্বকাপই তাদের শেষ অভিযান। বয়স তো আর অপেক্ষা করছে না। তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, বিশ্বকাপই শেষ। এরপর ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পালা। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের দেশে আর কোন সিরিজ নেই। সুতরাং, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজই শেষ দুই বন্ধু মাহেলা-সাঙ্গার।
দেশের মাটিতে শেষ সিরিজ এবং শেষ ম্যাচ ভক্ত-দর্শকদের জয় উপহার দিয়েই তবে মাঠ ছেড়েছেন মাহেলা এবং সাঙ্গাকারা। বিদায়ী ম্যাচে অবশ্য দু’জনের কারোরই ব্যাট হাসেনি। ২৮ রান করেছেন মাহেলা এবং ৩৩ রান করেছেন সাঙ্গাকারা।
তবে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বিদায়বেলায় অশ্র“সজল হয়েছেন দু’জনই। গ্যালারির চারপাশে হেঁটে দর্শকদের বিদায় সম্ভাষনের জবাব দিয়েছেন। এরপর অশ্র“সজল নয়নে বের হয়ে গেলেন চিরচেনা মাঠ থেকে। যেখানে আর ফেরা হবে না তাদের কোনদিন; অন্তত খেলোয়াড় হিসেবে।
দু’জনেরই বয়স প্রায় কাছাকাছি। ৩৭ পেরিয়েছে। তবে মাহেলা জয়াবর্ধনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু সাঙ্গাকারার দুই বছর আগে। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কলম্বোতেই ওয়ানডে অভিষেক জয়ার। সাঙ্গাকারার অভিষেক ২০০০ সালের জুলাইতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে গলে।
তবে দু’জনই সমান তালে এগিয়েছেন। এগিয়ে নিয়ে গেছেন শ্রীলংকার ক্রিকেটকে। জয়সুরিয়া, ডি সিলভা কিংবা আত্তাপাত্তুদের পর লংকান ক্রিকেটের হাল ধরেছেন এ দু’জন। জয়াবর্ধনের নেতৃত্বে ২০০৭ বিশ্বকাপে এবং সাঙ্গাকারার নেতৃত্বে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে লংকানরা। যদিও একবারও শিরোপা ওঠেনি তাদের হাতে।
৩৯০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪০.৬৪ গড়ে সাঙ্গাকারার সংগ্রহ ১৩৩৭২ রান। সেঞ্চুরি ২০টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৯১টি। সর্বোচ্চ ১৬৯ রান। নিজ দেশের মাটিতে খেলেছেন ১৪২টি ম্যাচ। এর মধ্যে রান ৪৭২৪। গড় ৪০.৭২। সেঞ্চুরি ৪টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩৩টি।
অপরদিকে মাহেলা জয়াবর্ধনে খেলেছেন ৪৩৪টি ওয়ানডে। এর মধ্যে ৩৩.২৭ গড়ে মাহেলার রান ১২২৪৭। সেঞ্চুরি ১৭টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৭৬টি। সর্বোচ্চ ১৪৪ রান। এর মধ্যে দেশের মাটিতে খেলেছেন ১৫১টি ম্যাচ। রান ৪০৪৬। গড় ৩৪.৫৮। সেঞ্চুরি ৪টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ২৮টি।