ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুদকও খুশি, আমিও খুশি

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Musa1নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুসা বিন শমসের বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের কর্মকর্তারা খুব খুশি। আমিও খুশি।’
তিনি বলেন, ‘আমি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা সরাইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট।’
তার ভাষায়, ‘আমার বিরুদ্ধে আগেও কোনো অভিযোগ ছিল না। এখনো নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সবাই কমবেশি জানেন। এদেশ দাঁড়িয়ে আছে রেমিট্যান্সের ওপর। এই রেমিট্যান্স আনার ব্যবস্থা করলো কে তা আপনারা জানেন। আমি ৪০ বছর ধরে জনশক্তির ব্যবসা করছি।’
বাংলাদেশের এই ধনকুবের বলেন, ‘তারা ( দুদক তদন্ত কর্মকর্তা) যা জানতে চেয়েছেন আমি তার সবই বলেছি। আমি তাদেরকে তথ্য দিয়েছি সব ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে। এ জন্য সময় লাগবে।’
এদিকে দুদকের তলবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন মুসা বিন শমসের। ১০টার দিকে মুসার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী তাকে জেরা করেন।
সুইস ব্যাংকে আটকে পড়া ৫১ হাজার কোটি টাকা দেশ ফিরিয়ে আনাসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগে বাংলাদেশের ‘বিজনেস মোগল’ নামে পরিচিত ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে মুসাকে দুদকে হাজির হতে গত ৪ ডিসেম্বর গুলশানের বাসা ও বনানীর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে নোটিশ পাঠান সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী। গত ৩ নভ্ম্বের দুদকের নিয়মিত বৈঠকে মুসা বিন শমসেরের সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ওই বৈঠকেই দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলীকে বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
চলতি বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি ম্যাগাজিনে মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই ম্যাগাজিনে এ ব্যবসায়ীর জবানিতে তার জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়। ম্যাগাজিনে তার সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় সাত বিলিয়ন ডলার (৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা প্রায়)।
প্রতিবেদনে মুসা বিন শমসেরের আয়, আয়ের উৎস, জীবনযাপনের কথা যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা দুদকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ, মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের ‘বিজনেস মোগল’ নামে পরিচিত। তাকে বলা হয় ‘প্রিন্স মুসা’। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুযায়ী বর্তমানে তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।