ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পেশোয়ার হত্যাযজ্ঞ
অ্যালার্ম ঘড়ির নীরবতা বাঁচিয়ে দিল দাউদকে

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

3আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পেশোয়ার আর্মি পাবলিক স্কুলে ক্লাস নাইনের মাত্র একজন ছাত্র জীবিত রয়েছে। তার নাম দাউদ ইব্রাহিম, বয়স ১৫। না, তালেবান জঙ্গিরা করুণা করে তাকে ছেড়ে দেয়নি। সে এখনো বেঁচে আছে তার ঘড়ির কল্যাণে। মঙ্গলবার সকালে তার ঘড়িটি ঠিক সময়ে অ্যালার্ম দেয়নি। তাই সময়মত ঘুম থেকে না উঠতে পারায় স্কুলে যাওয়া হয়নি তার। এতেই অলৌকিকভাবেই বেঁচে যায় দাউদ।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পাকিস্তানের ওই স্কুলে হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। হামলায় সবমিলিয়ে ১৪২ জন নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১৩২ জনই শিশু। তাদেরকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসী। বেঁচে নেই স্কুলের প্রিন্সিপ্যালও। এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।
এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল দাউদ। তাই রাতে বিছানায় যেতে দেরি হয়ে যায় তার। আর ঘড়িটাও সকালে ঠিক সময়ে টুং টাং ঝঙ্কারে জাগিয়ে দেয়নি তাকে। ফলে স্কুল মিস। কিন্তু বুধবার সকালে সে ঠিকই চলে এসেছিল স্কুলে, নিহত বন্ধুদের শেষ বিদায় জানাতে। বন্ধুদের জানাযায় অংশ নেয়ার পর থেকে একবোরে নীরব হয়ে গেছে দাউদ। কারো সঙ্গেই কথাবার্তা বলছে না বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
দাউদের বড় ভাই সুফিয়ান ইব্রাহিম স্থানীয় ‘দা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অব পাকিস্তান’ পত্রিকাকে বলেছেন,‘এটাই ভাগ্য। ওর ক্লাসের একজন ছাত্রও বেঁচে নেই। সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
এ সম্পর্কে ঘাতক গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছেন, শিুশুদের ছেড়ে অপেক্ষাকৃত বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের হত্যা করার জন্য বন্দুকধারীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এদিকে বুধবার সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের পেশোয়ারের ওই স্কুলটি পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুলের সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল সেদিনের বিভীষিকাময় স্মৃতি। সাংবাদিকরা এসব ঘুরে ঘুরে দেখেন- রক্ত মাখা অডিটরিয়াম, ভাঙা জ্যামিতি বক্স, ছেড়া বই-খাতা আর এদিকে ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট জুতো। স্কুলের দেয়াল আর মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো রক্তের দাগ থেকেই আন্দাজ করা যায়, প্রাণ বাঁচাতে এসব অবোধ শিশুরা মরিয়া হয়ে কতই না ছুটোছুটি করেছে। তারপরও জালিমদের মনে সামান্য দয়া হয়নি। পাখির মত গুলি করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে দাউদের এই অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া নিয়ে এক পাকিস্তানি টুইটারে লিখেছেন,‘অ্যালার্ম ঘড়ির নীরবতা দাউদের জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে। এখন তো সে নিজেই নীরব হয়ে গেছে। এবার সবাইকে জেগে ওঠতে হবে।’