নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, ‘জগলুল দল নিরপেক্ষ ছিলেন, কিন্তু আদর্শ নিরপেক্ষ ছিলেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। তার বিভিন্ন লেখা ও আলোচনায় তা স্পষ্ট। দক্ষিণ এশীয় রাজনীতি বিষয়ে তিনি ছিলেন অসাধারণ বিশ্লেষক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘জগলুল ছিলেন দক্ষ রাজনীতি বিশ্লেষক। দেশে বিদেশে তার লেখার সুনাম আছে। আর মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অমায়িক।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমদ চৌধুরী স্মরণে আয়োজিত এক সভায় তারা এসব কথা বলেন।
হবিগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা এ সভা ও দোয়ার আয়োজন করে। সভার শুরুতেই জগলুল আহমদের জীবন ও স্মৃতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আ ন স হাবীবুর রহমান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, ‘জগলুল সাংবাদিকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি বিপদে সহকর্মীদের পাশে থাকতেন। ব্যক্তিগত গাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত বাসে চড়তেন। শেষ পর্যন্ত এই বাসই তার প্রাণ কেড়ে নিল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ঘাতক বাসটিকে এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন।’
বাবার স্মৃতিচারণ করে জগলুল আহমদের মেয়ে অন্তরা আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আব্বু আমাদের সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। তিনি প্রায় বলতেন মানুষের প্রতি কর্তব্য পালনেই আনন্দ, তৃপ্তি নেয়ার মাঝে কোনো আনন্দ নেই।’
সভায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. সি এম দিলওয়ার রানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সেলিনা চৌধুরী ও দিলরুবা হেনা।
সভা শেষে প্রয়াত জগলুল আহমদ চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
হবিগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা এ স্মরণসভার আয়োজন করে। সভার শুরুতেই জগলুল আহমদের জীবন ও স্মৃতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আ ন স হাবীবুর রহমান।
স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে জগলুল ছিলেন সজ্জন, বিনয়ী, বন্ধুবৎসল, পরোপকারী। কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায় সেটাই ছিল তার মূল চিন্তার বিষয়।
তারা আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বিষয়ে তার মতো বিশ্লেষক দেশে বিরল। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের সাংবাদিকতার মঙ্গল হতো।