নিজস্ব প্রতিবেদক : তাবলীগ জামাতের নেতৃস্থানীয় লোকজন অনিয়ম করছেন- এমন অভিযোগ তুলে তা তদন্তে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে একাংশ। একই সঙ্গে তারা বৃহস্পতিবার আটক তাবলীগ কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন।
শুক্রবার রমনা থানার সামনে অবস্থানকালে তারা এ দাবি জানান।
আবদুর রহমান নামের একজন তাবলীগ কর্মী জানান, ‘তাবলীগের বর্তমান মুরব্বী ওয়াসিফুল ইসলাম বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অনিয়ম করছেন দীর্ঘ দিন ধরে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলেই রোষাণলের স্বীকার হই। তিনি যদি অন্যায় না করেন তবে আমাদের উপর হামলা করছে কেন?’
মিতুল আহসান নামে অপর একজন বলেন, ‘আমরা চাই সরকার তাদের আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করুক। এর মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটিত হবে।’
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে তাবলীগ জামাতের ২৪ কর্মীকে আটক করে রমনা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে কাকরাইল মসজিদ থেকে তাদের আটক হয়। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদ।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বেশকিছু তাবলীগ কর্মী মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের ভেতরে লিফলেট বিলি করছিলেন। একপর্যায়ে কাকরাইল মসজিদের আমির ওয়াসিফুল ইসলামের লোকজন তাদের মসজিদের ভেতর আটক করেন। এশার নামাজের পর রমনা থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে।
আটকের কারণ জানতে চাইলে এমদাদ বলেন, ‘তারা কাকরাইল মসজিদ ও তাবলীগ জামাতের আমিরের বিরুদ্ধে লিফলেট বিলি করছিলেন। তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের অভিযোগ, তারা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
তবে লিফলেট বিতরণকারীদের একজন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমির ওয়াসিফুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলাম। যখনই আমরা তাদের অনিয়ম নিয়ে কথা বলি, তখনই তারা আমাদের ওপর হামলা চালান। মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশি হয়রানি করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত রাতে মাগরিগের নামাজের পর আমরা ৪০ জনের মতো কর্মী লিফলেট বিলি করছিলাম কাকরাইল মসজিদে। এই লিফলেটগুলোতে ওয়াসিফুল ইসলামের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য ছিল। এই লিফলেট বিতরণের সময় ওয়াসিফুল ইসালামের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। মসজিদের ভেতরেই নামাজ শেষে মারধর করে। এ সময় ২৪ জনকে দ্বিতীয় তলায় ধরে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করে। সাধারণ মুসল্লিরা বাধা দিলে তারা আরো হিংস্র হয়ে ওঠেন।’
এসব বিষয়ে কথা না বলার জন্য আর্থিক প্রলোভনও দেখানো হয় বলে দাবি করেন মোস্তাফিজুর।
মারধরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই এমদাদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’