আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ফিলিস্তিন তার পূর্ব্বতন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের অভিবাসন গুটিয়ে নেয়ার জন্যে আগামী তিন বছরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে পুনরায় আত্মপ্রকাশের যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল ফিলিস্তিন, তারই ধারাবাহিকতায় এ সময়সীমা বেঁধে দেয় দেশটি। সেই সঙ্গে, জর্ডানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মেলনে, আগামী এক বছরের মধ্যে অঞ্চলটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথাও জানান ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা। ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের শান্তি প্রতিষ্ঠার এ পরিকল্পনাকে হঠকারিতা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাভিগদর লাইবারম্যান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রস্তাবনার বিপরীতে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রস্তাবনাগুলো নিরেট হঠকারিতা। এটা বিরোধকে আরও উসকে দেবে মাত্র, স্থায়ী কোন সমাধান আনবে না। আর, ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সায় ছাড়া, কোন কিছু কখনই সম্ভব নয়।’
এদিকে ইসরায়েলের অন্যতম বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রও তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি জানান, ফিলিস্তিনের প্রস্তাবনার ধরনে মার্কিন সমর্থন পাবার মতো কিছু নেই। বরং এটা ইসরায়েলের প্রতি হুমকিস্বরূপ। তিনি মনে করেন, অন্যরাও তার সঙ্গে একমত হবেন এবং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় বসা দরকার।