আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান সরকার মঙ্গলবার আরো দুই সন্ত্রাসীকে ফাঁসি দেবে বলে ডন পত্রিকা জানিয়েছে। তারা হলেন- নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-জাঙ্গভির সদস্য আতাউল্লাহ ওরফে কাসিম এবং মোহাম্মদ আযম ওরফে শরিফ। সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গত দশ বছর আগে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও এতদিন পযন্ত তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি পেশোয়ারের একটি স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩২ শিশুসহ ১৪২ জন নিহত হওয়ার পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইসলামাবাদ সরকার। ইতিমধ্যে দুই জঙ্গিকে ফাঁসি দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে ড. ওসমান ওরফে আকিল এবং আরশাদ মাহমুদ নামের ওই দুই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
স্কুল হামলার মাত্র একদিন পর বুধবার মৃত্যুদণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এছাড়া বৃহস্পতিবার ছয় জনের মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানায় সই করেছেন পাক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল রাহেল শরিফ।
শুক্রবার পকিস্তানের এক সন্ত্রাস বিরোধী আদালত আতাউল্লাহ এবং আযমের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন এবং শুক্কুর জেল কর্তৃপক্ষকে এই রায় বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদ আযম ওরফে শরিফ আরো ২ জঙ্গিকে ফাঁসি দিচ্ছে পাকিস্তান
এর আগে ২০০৪ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তানের এক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতে ড. আলি রাজা হত্যা মামলায় এই দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। ২০০১ সালে সোলজার বাজার এলাকায় চালানো এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ওই শিয়া নেতা।
এদিকে শুক্কুর জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগেও আদালত বেশ কয়েকবার তাদেরকে ওই দুজনের মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পাক প্রেসিডেন্ট ওই রায়ের বিরুদ্ধে স্টে অর্ডার দেয়ায় তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ বছর ধরে পাকিস্তানে মৃত্যুণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পর সম্প্রতি তা তুলে নেয়া হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কেবলমাত্র এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। এক সহকর্মীকে হত্যা করার দায়ে ২০০৮ সালে এক সেনাকে ফাঁসি দিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক আদালত।