কক্সবাজার প্রতিনিধি : রামু উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। ভোটাররাও উন্মুখ হয়ে আছেন ভবিষ্যৎ কাণ্ডারীকে নির্বাচিত করার জন্য।
নির্বাচন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার রাত থেকে প্রার্থীরাও তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি শেষ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, রামুর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে সরকার ও প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা ছাড়েই নির্বাচন সম্পন্নের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। তাই ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব, আর্মড পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যামাণ আদালতও থাকবে।
এছাড়াও ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনী সংখ্যক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা থাকবেন।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আট জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারা হলেন- প্রয়াত আহমেদুল হক চৌধুরীর সহধর্মীনি আনোয়ারা বেগম, ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ আবদুল মাবুদ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুসরাত জাহান মুন্নী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুল কবির হেলাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দীন।
এছাড়া ব্যাংক ঋণ জটিলতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিয়াজুল আলমকে প্রথমে বাতিল করা হলেও পরে তার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সূত্র মতে, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মূলত লড়াই হবে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি মনোনীত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রিয়াজুল আলম ও বিএনপি সমর্থিত মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী মধ্যে।
ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান লড়ছেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে, রিয়াজুল আলম মোটরসাইকেল ও মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে।
তবে স্থানীয় ভোটাররা জানান, তারা তিন জনই শক্তিশালী প্রার্থী হলেও ভোটের দৌড়ে এগিয়ে আছেন ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান। অন্য দুই প্রার্থীও সমানে এগিয়ে রয়েছেন।
স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রামুর উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীই বড় দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত। সে কারণে নির্বাচনটা তাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে মর্যাদা রক্ষার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। তাই জয়ের জন্য তিন দলই মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাকিটা রোববার বিকেলের পর দেখার পালা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. অনুপম সাহা বলেন, ‘ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে। কেউ যদি তা করার চেষ্টা করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’