
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মাওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুইটি প্রধান বিষয় হচ্ছে- মূল সেতু ও নদী শাসন। ইতিমধ্যে সেতুর কাজ শুরু হয়ে গেছে। গত ৪ আগস্ট নদী শাসনের জন্য ট্যাকনিকেল অ্যাভুয়েশন কমিটি ও বিশ্বব্যাংক মনোনিত মনসুর অ্যাইম চায়না সিনো হাইড্রো করপোরেশন ও কোরিয়ার হুন্দাই কোম্পানিকে যাচাই বাছাইয়ের পর মনোনীত করে কাজের জন্য সুপারিশ করেছে। সিনোহাইড্রো নদী শাসন কাজের জন্য আ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার প্রস্তার করেছে। যা সরকারের বাজেট থেকে ১০ ভাগ কম।
মন্ত্রী জানান, অপরদিকে হুন্দাই কোম্পানি ১২ হাজার ১২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। সরকারি বাজেট থেকে এটা প্রায় ২০ ভাগ কম। দুইটি প্রস্তাবই আগামী দুই দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ক্রয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে যাচাই বাছাইয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে চূড়ান্ত অনুমোদন যারা পাবেন তাদের সাথে চুক্তি হবার পরই নদী শাসনের কাজ শুরু হবে। এছাড়া অপর কোম্পানি জান্ডিলেনকে ইতিমধ্যে যোগ্যতার অভাবে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফতাব উদ্দিন খান, নদী শাসনে নির্বাহী প্রকৌশলী শারফুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল হক, পদ্মা সেতু কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা সেনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে মন্ত্রী ধসেপড়া টঙ্গীবাড়ি বেইলি ব্রিজের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।