ঢাকাশনিবার , ২০ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইন্টারনেটে যৌন ব্ল্যাকমেইল
ফিলিপাইনে কোটি ডলারের বাণিজ্য

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ২০, ২০১৪ ১২:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

sextortionআন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী অনলাইন অপরাধের মাত্রা বেড়ে চলেছে এবং এর ধরনও বদলাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পুরুষদের যৌনতার লোভ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা। ফিলিপাইনে রীতিমতো জমজমাট হয়ে উঠেছে এই ব্যবসা। অনলাইনে ব্ল্যাকমেইল করে দিনে শত শত ডলার আয় করছে এখানকার একটি শক্তিশালী চক্র।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার অনেক বস্তি ও গলিঘুঁজি এখন নতুন এই অপরাধের আখড়া। দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ায় নতুন ধাঁচের এই অপরাধ এখানে ইন্ডাস্ট্রির মতো গজিয়ে উঠেছে। অপরাধীরা ভুয়া ছবির সঙ্গে মেয়েদের কণ্ঠ ব্যবহার করে কৌশলে পুরুষদের আকৃষ্ট করছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ভিডিও চ্যাট করার জন্য।
সুন্দরী মেয়ের ছবি দিয়ে এরা বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাঠাচ্ছে অনলাইনে। আবেদনময়ী নারী ওয়েবক্যামেরায় ঘনিষ্ঠ যৌনআলাপের আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছে। অপরাধীরা এই চ্যাট রেকর্ড করে নিচ্ছে।
যারা এই ফাঁদে পা দিচ্ছে তারা জানছে না ক্যামেরায় যৌন আবেদনময়ী যে সুন্দরী মেয়ের ছবি সে দেখছে সেই মেয়ে বাস্তবের কোনো নারী নয়- তার কণ্ঠ আগে থেকে রেকর্ড করা, কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করা, বোতামের চাপে তার কথা, চাহনি, অঙ্গভঙ্গি ফুটে উঠছে কম্পিউটারের পর্দায়।
পরে এই রেকর্ডিং ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চক্রগুলো বিপুল অংকের অর্থ আদায় করছে। অর্থের দাবি মেটাতে না পেরে পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে।
এই চক্রের শিকার বহু পুরুষ লজ্জার কারণে পরিবার কিংবা থানায় অভিযোগ জানাচ্ছে না। আর এ সুযোগে পুলিশের নজর এড়িয়ে ম্যানিলার আনাচে কানাচে যৌন ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ব্যবসাচক্র ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে।
ব্ল্যাকমেইল করার জন্য অপরাধীরা যেসব মেয়েদের ব্যবহার করে তাদের একজন হলেন রোসা ।
তিনি জানান, ‘এই চক্রগুলো বিদেশি পুরুষদের খদ্দের হিসেবে ধরার চেষ্টা করে। এদের মন ভোলানোর জন্য আমাদের মতো মেয়েদের তারা কাজে লাগায়। আমার জন্য কাজটা খুবই কঠিন ছিল। আমি খারাপ কাজ করতে কখনই অভ্যস্ত নই। এ কাজে আমার বিবেকের দংশন হচ্ছিল।’
পুলিশ হানা দিয়ে ম্যানিলায় কিছু কল সেন্টার পেয়েছে যেখানে তরুণ তরুণীরা যৌন ব্ল্যাকমেইলিংয়ে বিভিন্ন শিফটে কাজ করছে। এমনকি মোটা অংকের অর্থ এনে দিতে পারলে তাদের বোনাসেরও ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।
অপরাধীদের ধরতে শহর জুড়ে পুলিশি তৎপরতাও বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু অপরাধী চক্রকে ধরতে সাইবার পুলিশ হানা দিয়ে কম্পিউটার সরঞ্জাম, ব্ল্যাকমেইলের নানা তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করলেও সন্দেহভাজন অপরাধীদের অনেকেই এখনও নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।
গত বছর পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট তিনটি বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে ম্যানিলায়। অভিযানে শতশত কম্পিউটার জব্দ ও বহু লোককে আটক করা হয়েছে।
তাদের আস্তানায় পাওয়া গেছে বড় বড় বাক্সভর্তি স্তূপাকৃতি রসিদের খাম, আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ লেনদেনের প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর রসিদ। যাদের যৌন ব্ল্যাকমেইলের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে- তাদের কাছ থেকে এসেছে এসব অর্থ।