নিজস্ব প্রতিবেদক : এমপিওভুক্তি না করা পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে। রোববার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষক ও শিক্ষিকারা এ ঘোষণা দেন।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলের শিক্ষিকা সাবিহা পারভীন বলেন, আমাদের নিয়োগের প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্তি করা হচ্ছে না। অথচ সরকার বলেছিল দুই বছরের মাথায় এমপিওভুক্তি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘একই দাবিতে আমরা এর আগেও অনশন ও স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু সরকার কিছুতেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না।’
গোপালগঞ্জের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্জুন কুমার অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে শিক্ষা ভবনে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা বলেন মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখছে। মন্ত্রনালয়ে গেলে তারা বলেন শিক্ষা ভবন কোন কাগজপত্র পাঠায়নি। এভাবে তারা শিক্ষকদের হয়রানি করছেন।’
শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষা ভবন গেলে বলা হয় জেলা থেকে এখনও লিষ্ট পাঠানো হয়নি। কিন্তু প্রতিটি জেলার শিক্ষা অফিসারের কাছে যোগাযোগ করে জানা গেছে যে, তারা পাঁচ বার এ লিষ্ট পাঠিয়েছেন শিক্ষাভবনে। অথচ তারা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যাচার করে নানা টালবাহানা শুরু করেছেন।’
শিক্ষকরা জানান, ‘সাড়ে চারশ শিক্ষক ও শিক্ষিকা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ বিষয়টির সমাধানের জন্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়ার সময় তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, অর্থ সংকট কেটে গেলেই আমাদের এমপিও ভুক্তি করা হবে। বছর শেষ হতে চলেছে। কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।
জানা যায়, ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রতিটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণী শাখা খোলার অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ১৯৬টি স্কুল এই অতিরিক্ত শাখা খুলেন এবং সেই শাখাগুলোতে অতিরিক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগ প্রদান করেন।
কিন্তু এই প্রজ্ঞাপনের সময় অনুযায়ী তিন বছর অতিবাহিত হলেও আজও সাড়ে চারশ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত এমপিও ভুক্তি করা হয়নি।