ঢাকারবিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানহানি মামলায় তারেকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ২১, ২০১৪ ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Tareqনিজস্ব প্রতিবেদক : লন্ডনে বসে মানহানিকর ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আমলে নেননি আদালত। শুধু মানহানির অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাজিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেননি বিচারক।
উল্লেখ্য, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। কিন্তু বাদী তার অভিযোগে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাজিদুর রহমান উল্লেখ করেন।
রোববার সকালে রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়ায়েছ কুরুনী খান চৌধুরীর আদালতে হকার্সলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরে বিচারক এ মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু মানহানির অভিযোগটি আমেল নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া রিজভী, মীর নাসির ও মাজিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলা নেননি আদালত।
মামলাটিতে বাদী অভিযোগ করেন, ‘তারেক রহমান ২ ও ৪নং আসামির সহযোগিতায় গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের অট্টিয়াম হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে কটূক্তি করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি(তারেক রহমান) বলেন, ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলছি, শেখ মুজিব রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেন। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।’
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমান তার বক্তব্যে আরো দাবি করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিব পরিবারের কোনো অবদান নেই। লাখো মানুষ যখন রণাঙ্গনে, শেখ মুজিবের পরিবার তখন খুনি ইয়াহিয়া খানের পয়সায় খান সেনাদের পাহারায় নিরাপদে দিন কাটাচ্ছেন ঢাকায়। আওয়ামী লীগের নেতারা কোলকাতায়। আর শখের বন্দি শেখ মুজিবের হাতে এরিনমোর পাইপ। এছাড়াও তারেক রহমান শেখ মুজিবকে আওয়ামী লীগের লালসালু, শেখ হাসিনাকে দখলদার ও রংহেডেড বলে আখ্যা দেন।
এছাড়াও তারেক শেখ হাসিনার পরিবারে রাজাকারের বংশবিস্তার হচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি আওয়ামী লীগকে দেখলেই রাজাকার বলার পরামর্শ দেন।
তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ও হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জতহানির জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে দায়ী করে তাকে রাজাকার হিসেবে অভিহিত করেন।
বাদী তারেক রহমানের এসব বক্তব্য ১৭ ডিসেম্বরে দেশে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন। আসামির এসব বক্তব্যে বাদী ক্ষুব্দ হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলাটিতে বাদী তারেক রহমানকে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত, অর্থপাচারকারী, পলাতক(ফেরারী) আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
মামলায় বাদী নিজে ছাড়াও দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ অন্যান্য পত্রিকার সম্পাদকসহ মোট ছয়জনকে সাক্ষি করেছেন।