স্পোর্টস ডেস্ক : গেল গেল রব দিয়ে ২০১৪-১৫ ফুটবল মৌসুমের শুরু করেছিলেন লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ফাইনাল হারের পর বার্সেলোনার হয়ে কিছুতেই গোল পাচ্ছিলেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। অনেকে দাবি করছিলেন, মেসি যুগের সমাপ্তি হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অবিশ্বাস্য ফর্ম আর নিজে গোল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন খোদ মেসিও। এ অবস্থায় চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগায় বিবর্ণ আর কক্ষচ্যুত মনে হয়েছিল বার্সাকে। শিরোপা দৌঁড় থেকে শুরুতেই যেন বিচ্যুত হয়ে পড়ে কাতালনিয়ার জায়ান্টরা!
কিন্তু না- সেখানেই থেমে থাকেনি বার্সেলোনা, থেমে যায়নি মেসিও। নিজের সেরা রূপে না হোক আবারো ম্যাচজয়ী হিসেবে আর্বিভূত হন মেসি। গোলের পর গোল করে চলেন। এক পর্যায়ে চার ম্যাচে তিন হ্যাটট্রিকও তুলে নেন টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবরার। এর আগে চোটে ভুগেও বছরের শুরুতে বেশ কিছু গোল করেছিলেন মেসি। তাতে ২০১৪ বছর শেষে এমএলটেনের নামের পাশে ৬৬ ম্যাচে ৫৮ গোল ও ২২টি অ্যাসিস্ট। দেশ ও ক্লাবের হয়েই এই কৃতিত্ব দেখান মেসি। বার্সার হয়ে ৫২ আর আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলেন ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকর।
ব্যক্তিগত অর্জনের পালায় মেসি এই বছর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন। বিলবাও কিংবদন্তি তেলমো জারাকে ছাপিয়ে হয়েছেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা, রাউল গঞ্জালেসকে পেছনে ফেলে একই কীর্তি স্থাপন করেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও। নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা পারফরমার, জিতেছেন ফিফা গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ড।