ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেগম জিয়ার মুক্তির আশা সঙ্কুচিত হচ্ছে

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪ ১২:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Fakhrulনিজস্ব প্রতিবেদক : মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আশা সঙ্কুচিত হয়ে আসছে উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে দুই আইন চলছে। দুদক চেয়ারম্যানের নিরপেক্ষ কথা বলা উচিৎ। তা না বলে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন পাবনা ও রাজশাহীতে। তিনি একটি দলের জন্য আগেও কাজ করেছেন এখনও সেভাবে কাজ করছেন ও কথা বলছেন।  দুদক চেয়ারম্যান বিশেষ রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষা করছেন। তিনি তার পদে থেকে সাংবিধানিক ভাষায় কথা বলছেন না।’
মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে দুদকের দায়ের করা দু’টি মামলাই মিথ্যা। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই এসব মামলা করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে বেগম জিয়া মুক্তি পেতেন, কিন্তু সরকার যে পদ্ধতিতে মামলা পরিচালনা করছেন তাতে মুক্তি পাওয়ার আশা সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। তারপরও আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই বেগম খালেদা জিয়ার নামে করা মামলার তারিখ আসে তখনই শেখ হাসিনা অপপ্রচার করে বলেন খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন। বিচার করতে হবে। মূলত তিনি পরোক্ষভাবে বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব বিস্তার করছেন। আমরা এসব মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে সসম্মানে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আদালতের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা ১৫টি মামলা তুলে নিয়েছেন। এমনকি বিচারাধীন মামলাও তিনি তুলে নিয়েছেন। মামলার বাদী আজম জে চৌধুরী শেখ হাসিনাকে ঘুষ দিয়েছিলেন তা  পত্রিকায় ফাঁস হয়েছিল, সেই মামলার ট্রায়ালও শুরু হয়েছিল, কিন্তু তা থেমে গেছে। অথচ যে মামলার কোনো ভিত্তিই নেই সেই মামলা হচ্ছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বিচার বিভাগকেও ধ্বংস করেছে। উচ্চ আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। যখন সরকার অন্যায়ভাবে বিরোধী রাজনীতিকদের হয়রানি করে তখন উচ্চ আদালতে গিয়ে আমরা রিলিফ পেয়েছি। কিন্তু এখন আদালতের আচরণে আমরা হতাশ। এখন দেশে দু’টি নিয়ম। একটি সরকারি দলের জন্য আরেকটি বিরোধী দলের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার ব্যাংক, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎ খাত থেকে যে পরিমাণ টাকা দুর্নীতি করেছে তাতে তাদের মুখে দুর্নীতি বিরোধী কথা মানায় না।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারি দলের জন্য এক আইন আর বিরোধী দল তথা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বা সমালোচনা করে ভিন্নমত পোষণ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। হয় তাকে গুম-হত্যা না হয়  তাকে জেলে দেয়া হয়।’
সারা দেশের মামলার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘সরকার বিরোধী দলের সারা দেশের নেতাকর্মীদের নামে তিন হাজার মামলায় পাঁচ লাখ লোককে আসামি করেছে। এর অর্থ মানুষের ওপর নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কেউ হামলা মামলা করে টিকে থাকতে পারে নাই। এই স্বৈরাচারী সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র
রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।