ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করলেন প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান তনু।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে প্রধান আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তনু বলেন, এ হত্যাকাণ্ড আমি একাই ঘটিয়েছি। পাওনা ৮০ হাজার টাকার জন্য প্রথমে গাড়িতে হবিরবাড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করি। পরে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা করি।’
এদিকে স্বীকারোক্তি অনুযায়ি তার ভায়রা রফিকুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মৌজেবালি গ্রাম থেকে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। এসময় সেখান থেকে কাপড়ভর্তি বেগ, একটি রঙিন টিভি ও একটি এমপ্লিফায়ার উদ্ধার করা হয় বলে জানান ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মইনুল হক।
এর আগে ভোরে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে গলা কেটে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান তনুকে (৩৫) গাজীপুরের টঙ্গি থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। টঙ্গির এরশাদ নগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হাফিজুর নিহত চালক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর সহযোগী ছিলেন। তার বাড়ি যশোরের পুরাতন কসবার কাজিপাড়া গ্রামে।
ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মইনুল হক জানান, ভোরে এরশাদ নগর থেকে একই পরিবারের চার জনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান তনুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরা হলেন- হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তার স্ত্রী পারুল আক্তার, দুই শিশুকন্যা জিনিয়া ও রিমা।
এ ঘটনার একদিন পর ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিহত রফিকুলের বাবা ওয়ারেছ আলী বাদী হয়ে ভালুকা থানায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই রাতেই ওই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি অবশেষে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি এএসআই আবুল কাশেম জানান, ডিবি পুলিশ নেত্রকোনা থেকে হোসনা (৩০) ও রফিকুল ইসলাম রফিক (৪২), ময়মনসিংহের ভালুকার সিডস্টোর থেকে হাফিজ (৪৫) বাতেন (৩৫), জোসনা (২৫), সোহেলকে (৩৫) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।