নিজস্ব প্রতিবেদক : ১০টি গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ১৬ হাজার দুশ’ টাকা করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী জাতীয় ঐক্য ফোরাম।
৩০ জানুয়ারি মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৩১ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাকও দেয় সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. হানিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ২১ ডিসেম্বর বেতন কমিশন সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার প্রস্তাবনাসহ ১৬টি গ্রেডে বেতন স্কেলের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে পূর্বের তুলনায় বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রস্তাব দেশের ১২ লাখ কর্মচারীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বেতন স্কেলের ১৬টি গ্রেডের মধ্যে কর্মচারীদের জন্য (১০-১৬ গ্রেড), যার সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩ হাজার টাকা। এই ৭টি গ্রেডে বেতন বেড়েছে মাত্র ৪ হাজার ৮০০ টাকা। অপরদিকে কর্মকর্তাদের জন্য ৯টি গ্রেডের (১-৯ গ্রেড) সর্বনিম্ন ১৭ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা। এই ৯টি গ্রেডে বেতন বেড়েছে ৬৩ হাজার টাকা। এভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন মধ্যে বিরাট ব্যবধান ও বৈষম্য করা হয়েছে।’
মো. হানিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘দাবি আদায়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি স্ব স্ব দপ্তরে কর্মবিরতি, ২৪ জানুয়ারি মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।’
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মজিবর রহমান মোল্লা বলেন, ‘পে-কমিশন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য যে ৮ হাজার টাকার বেতন স্কেল সুপারিশ করেছে তা দিয়ে ৬ জনের পরিবার চালানো সম্ভব নয়। ঘোষিত বেতন কাঠামো বৈষম্যমূলক। উচ্চপদের কর্মকর্তাদের তুষ্ট রাখতে এ বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই আমরা চাই সরকার বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করে তা বাস্তবায়ন করবে।’
তাদের দেয়া তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেড প্রদান ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হিসাবরক্ষণ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আমিনুর রহমান, সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব মো. রেজাউল মোস্তফা প্রমুখ।