ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শীতেও ঘর থাকবে উষ্ণ ও ধুলামুক্ত

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

bosar-ghor2লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাদামাটা একটি ঘরকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে আপনার হাতের শৈল্পিক ছোঁয়া। মানানসই আসবাবের সঙ্গে চাই সুন্দর পর্দা। দেয়ালের রঙ, ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশের পরিমাণ এবং ঋতুটা মাথায় রেখে পর্দা নির্বাচন করা জরুরি। সময়টা শীতকাল হওয়ায় অতিরিক্ত ধুলাবালি এবং শীতের হিমেল হাওয়াকে ঠেকাতে প্রয়োজন ভারী পর্দা।
সৌন্দর্যবর্ধক পর্দাটি ধুলাবালি, কুয়াশা থেকে বাঁচানোসহ ঘরের গোপনীয়তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতকালে যে ঘরে আলো কম প্রবেশ করে তার জন্য কিছুটা পাতলা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আলো-বাতাসের পরিমাণ বেশি থাকলে মোটা কাপড় ও গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করাই ভালো। কারণ, ভারী পর্দা সহজে সরে গিয়ে ঘরের মধ্যে ধুলা বা কুয়াশা ঢুকতে দেয় না। অপরদিকে গাঢ় রঙের হলে সহজে ধুলার আস্তরণ টের পাওয়া যায় না।
পর্দার জন্য হলুদ, লাল, কমলা, লালচে কমলা, গাঢ় নীল, সবুজ ইত্যাদি রঙ বেছে নেয়া যেতে পারে। কোন ঘরে লাগানো হবে তার ওপরও পর্দা নির্বাচন নির্ভর করে। শোবার ঘরের জন্য সবসময় হালকা ও সিগ্ধ রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হয়। দুই ধরনের পর্দার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে চাইলে দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমে কিছুটা মোটা কাপড় দিয়ে তার ওপর নেটের বা পাতলা কাপড়ের পর্দা লাগানো যেতে পারে। শীতকালে ব্যবহারের জন্য কৃত্রিম বয়ন তন্তু বা সিনথেটিক কাপড়ে তৈরি পর্দা সব থেকে বেশি উপযোগী।
বাজারে নানা নামে, নানা মানের পর্দার কাপড় পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে সুতি, সিল্ক, স্ট্রাইপ, সুঁই-সুতার প্যান ওয়ার্ক, এমবুশ, ব্লক বাটিকের পর্দার বেশ চল লক্ষ্য করা যায়। নামিদামি বিপণিকেন্দ্রগুলোয় পাবেন কুঁচি দেয়া পর্দা, স্ট্রেইট পর্দা, কম্বাইন্ড পর্দা। আড়ং, নিপুণ, নগরদোলা, প্রবর্তনা, গাউছিয়া রাজধানীর নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মৌচাক, গ্রিন রোড, মোহাম্মদপুর, গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের পাশসহ বিভিন্ন জায়গায় পর্দা পাওয়া যায়। এসব মার্কেটে দোকান থেকে রেডিমেড পর্দা কেনার পাশাপাশি পছন্দমতো কাপড় কিনে নিয়েও নিজের মনমতো ডিজাইনে পর্দা বানানো যাবে। দেশী তাঁত, ভারতীয়, চীনা, মালয়েশিয়ান, কোরিয়ান, জাপানিজ, আমেরিকান নানা ধরনের পর্দার কাপড় রয়েছে। দামেও রয়েছে ভিন্নতা। শ্যানেল প্রতি গজ ৫০০-১৫০০, বেলজিয়াম ভেলভেট ৬০০-২২০০, হিকারন শ্যানেল ৬০০, গোল্ডেন শ্যানেল ৬০০, সিল্ক ২৫০-৩০০, সুতি ১০০-২৫০, পলেস্টার ১০০, ফ্যান্টাসি ৮০০, কটন ফ্যান্টাসি ৪০০-৫০০, পর্দার পেছনে দেয়ার শেয়ার্স ৫০০-৮০০, নেট ২০০-৫০০, লেইস ৮০-২৫০ টাকার মধ্যে পাবেন। পর্দার কাপড় দিয়ে কুশন কভার, সোফার কভারও তৈরি করতে পারেন।