স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড পেসারদের তোপে পড়ে লেজে গোবরে অবস্থা করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই তুলনায় ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দ্বিতীয় ইনিংস বেশ স্বাস্থ্যকর। কিন্তু তারপরও হারের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস বাহিনীকে। রোববার সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারীরা। যা স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ১০ রান নিচে।
ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের অতিমানবীয় ১৯৫ এবং জিমি নিশামের ধৈয্যশীল ৮৫ রানে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৮৫.৫ ওভার ব্যাট করে ৪৪১ রান করে অলআউট হয়েছিল। এর জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমেই সবুজ উইকেটের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনার ও ট্রেন্ট বোল্টের ফাস্ট বোলিংয়ের তোপে পড়ে তারা। আর ৪২.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৩৮ রানেই। যা ফলোঅনের নির্ধারিত মাত্রা ২৪১ থেকে কম। ফলে ফলোঅন করতে হয় তাদের। লঙ্কানদের লজ্জার ইনিংসটিতে তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ম্যাথুস।
এরপর ফলোঅনের বাধ্যবধকতায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে খাদের কিনারা থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় দেখায় সফরকারী দলের দুই ওপেনার কুশল সিলভা ও দিমুথ করুণারত্মে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৮৪ রান করে অবিচ্ছিন্ন ছিল তারা। কিন্তু আজ রোববার দিনের শুরুতেই ফিরে যান কুশল। ৩৩ রান করে টিম সাউদির শিকার হয়ে ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ দেন কুশল। দ্রুত ফিরে যান কুমার সাঙ্গাকারাও (১)। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। লাহিরু থিরিমান্নে ও দিমুথ করুণারত্মে আত্মবিশ্বাস ছড়ানো ব্যাটিং করতে থাকেন। এই ধারায় ৪৮৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৫২ রান করেন লঙ্কান ওপেনার। দিনের শেষার্ধে ৩৬৩ বলে ১৫২ রান করে বোল্ড হন করুণারত্মে। ৫৩ রান করে দিন শেষে অপরাজিত আছেন ম্যাথুস। ৫ রান করে অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গত দিচ্ছেন থারিনডু কৌশল।
রোববার ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ১২৫ ওভার ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৩ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের থেকে এখনো ১০ রান পিছিয়ে তারা। স্বাগদিকদের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ৩০ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি ও জিমি নিশাম।