স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেড ওভালের পর মেলবোর্নেও খাসলত বদলাতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
ভালো খেলতে খেলতে হুট করে ছন্দপতন হচ্ছে তাদের, ব্যাটিংয়ের সুরটা কোথায় যেন চড়ে যাচ্ছে? তাই এদিন ভারতীয়রা তিন উইকেট হারিয়ে ৪০৯ রান যোগ করার পর ৪৩৪ রানে গিয়ে স্কোরবোর্ডে নেই সাত উইকেট। উপরন্তু শেষ বিকেলে সাজঘরে ফিরেছেন স্বচ্ছন্দ ব্যাটিং করতে থাকা বিরাট কোহলিও (১৬৯)। যা নিঃসন্দেহে ভারতকে পেছনের দরজায় ঠেলে দিয়েছে। কেননা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে মাত্র দুই উইকেট হাতে রেখে অস্ট্রেলিয়ার থেকে এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে মহেন্দ্র ধোনি বাহিনী।
রোববার রেকর্ডবুকে অনেক নতুন রেকর্ড লিখেছেন কোহলি। এদিন দশ বছরের মধ্যে ভারতের হয়ে এশিয়ার বাইরে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়তে নেতৃত্ব দেন কোহলি। গাভাস্কারের পর টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন সেঞ্চুরির নজির গড়েন। তাছাড়া এদিন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের নিজের সর্বোচ্চ ১৬৯ রানের ইনিংসও খেলেন দিল্লির ব্যাটসম্যান। কিন্তু তারপরও ভারতের বিপদ কাটেনি। মেলবোর্নে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ভারত ১২৬.২ ওভার ব্যাট করে ৪৬২ রান সংগ্রহ করেছে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার থেকে এখনো ৬৮ রান পিছিয়ে তারা।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে সংগ্রহ করা ১০৮ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। কিন্তু আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা বেশিদূর এগুতে পারেননি। দিনের দ্বিতীয় বলে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৭১ বলে ২৫ রান করে রায়ান হ্যারিসের শিকার হন তিনি। দ্রুত আউট হন মুরালি বিজয়ও। অবশ্য শেন ওয়াটসনের শিকার হওয়ার আগে ৬৮ রান করেন ভারতীয় ওপেনার। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে রেকর্ড ২৬২ রান যোগ করেন। ৪০৯ রানে গিয়ে রাহানের বিদায়ে এই জুটির পতন ঘটে। নাথান লিওন ১৪৭ রান করা রাহানেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন।
এরপরই ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারের ওপর দিয়ে ছোটখাটো একটা ঝড় বয়ে যায়। মাত্র ৩ রান করে জোশ হ্যাজলউডের শিকার হন অভিষিক্ত লোকেশ রাহুল। মহন্দ্রে ধোনিও প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেননি। ইনিংসের ১১৭তম ওভারে ১১ রান করে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক। দলীয় ৪৩৪ রানে ফিরে যান রবিচন্দন অশ্বিন। আর দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন বিরাট কোহলি। ২৭২ বলে ১৮ চারের সাহায্যে ১৬৯ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার রায়ান হ্যারিস ২৫ ওভার বল করে ৭৫ রান দিয়ে চারটি উইকেট দখল করেন। দুটি উইকেট গেছে নাথান লায়নের কাছে।