ঢাকারবিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইমেজ রক্ষায় নতুন মিশন
‘হঠাৎ কিছু একটা’ করে দেখাতে চায় ছাত্রলীগ

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Catraleeg logoনিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন মিশনে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ। টেন্ডারবজি, হল দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানান কাজে জড়িয়ে ইতোমেধ্যে সংগঠনটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সংগঠনটির ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। দলের অনেক সিনিয়র নেতাও ছাত্রলীগের ওইসব ব্তির্কিত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। এ অবস্থা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আগামী জানুয়ারিকে সামনে রেখে নতুন রূপে ফিরতে চান সংগঠনটির নেতারা। এতে উৎসাহ যোগাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মহানগর ও কেন্দ্রীয় কয়েক নেতা। প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্রলীগের এই নতুন মিশনটা কী?
সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবিষ্যতে বিএনপি, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যাতে আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মাঠে থাকবে ছাত্রলীগ। গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বকশিবাজারে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মারধর করে ছাত্রলীগ তাদের সেই নতুন মিশনের জানান দিয়েছে।
যদিও ওই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাত্রলীগের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রলীগ কোথায় হামলা করেছে? তারাই (বিএনপি) তো একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এমপিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বিএনপিই অরাজকতা করেছে, আর এর উদ্দেশ্য ছিল সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসকে হত্যা করা।’
সরকার সমর্থকদের হাতে বাঁশ, লাঠির পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেলেও সে বিষয়ে কিছু না বলে আদালতের আশপাশে বিএনপিকর্মীদের জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এ বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আগামীতে বিএনপি-জামায়াত রোধে ছ্ত্রালীগকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। ২০১৩ সালের মতো বাংলাদেশে আর কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেয়া হবে না।’
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, বিরোধী দল মোকাবেলা করতে ছাত্রলীগ বিগত দিনে যেভাবে ভূমিকা রেখেছে, ভবিষ্যতেও সেভাবে ভূমিকা রাখবে।’ তবে ২৪ ডিসেম্বরের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত নয় বলে দাবি করেন তারা।
জানা গেছে,  গত এক মাসে পর পর দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জের ধরে চাপের মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর তাপস সরকার নিহত হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তঃকোন্দল মেটাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় তার কাছে যেতে পারছেন না ছাত্রলীগের নেতারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংগঠনের ‘অতি উৎসাহী’ কিছু নেতাকর্মী অঘটনে জড়িয়ে পড়ায় দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আর ছাত্রলীগ নেতারা তাদের এই চাপ থেকে উত্তরণের জন্য ‘হঠাৎ কিছু একটা করে দেখাতে চাইছেন।’
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আসলে ছাত্রলীগের ওপর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নেই। সংগঠনটির কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।’
এ বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বকশিবাজার এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সঠিক সময় ঠিক সিন্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ’
এ সম্পর্কে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগ বড় সংগঠন। এখানে বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আর গত ২৪ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে তা কারোরই কাম্য ছিল না। তারাই প্রথম সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। তারাই সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক হল, অমর একুশে হল এবং সুফিয়া কামাল হলে হামলা করেছে। তারা সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা করেছে। তারাই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করেছে। ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাত্র।’