নিজস্ব প্রতিবেদক
কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে- এ কথা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলতেন। কিন্তু জিয়ার অনুসারীরা তা না মেনে কথা বেশি বলছে এবং কাজ কম করছে। দলে কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি হয়ে গেছে। বিভিন্ন সভায় শ্রোতার চেয়ে বক্তা বেশি। ফলে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে তারেক রহমানের ৭ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবীদল আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হলেও তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করছে। তবে তার ভাবনা দলের ত্যাগী লোকদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে। তাহলে ভাবনার বাস্তবায়ন সহজ হবে। যদি সেই ভাবনা শুধু ঘিরে রাখা মানুষজনের সঙ্গে হয় তাহলে সেই ভাবনা আলোর মুখ দেখা ও জিয়াউর রহমানের অনুসরণ করা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) বিপদে পড়ে ঘিরে রাখা চাটুকারদের চিনেছেন। এর ধারাবাহিকতায় সচেতন থেকে জিয়াউর রহমানের আদর্শে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। চর্চায়, ভাবনায় জনগণের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে গণতান্ত্রিক ধারায় তিনি এ দেশের নেতৃত্ব দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর অনেকটা ক্ষুব্ধ। তবে তাদের ওপর যতটা ক্ষুব্ধ ততটা বিএনপির ওপর আস্থাশীল নয়। বিএনপিকে জণগণের কাছে আস্থাশীল হতে হবে। দল যদি ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে তাহলে দল আরো শক্তিশালী হবে। আর যদি তা না করে তাহলে দলে নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করা এতো সহজ কাজ নয়। জিয়া পরিবারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের কোটি কোটি মানুষ। বিএনপি আন্দোলন করুক আর না করুক শেখ হাসিনাকে তার কর্মের জন্য ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’
মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুস সালাম বলেন, ‘৯০ সালে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বর্তমান সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এর ধারাবাহিকতায় সরকার তারেক রহমান, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে।’
তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আপনারা যদি তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চান তাহলে আপনাদের অবস্থা খুব ভাল হবে না।’
কর্মজীবী দলের সভাপতি মো. লিটন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমদ আজম খান, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, রহমত উল্লাহ, যুবদল নেতা কুদ্দুস, কর্মজীবী দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাব হোসেনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।