ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শামসুল হায়দায় হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪ ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Cortনিজস্ব প্রতিবেদক : রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমের অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দায় হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভুয়া বিল তৈরি করে ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা জেনে যাওয়ায় খুন হন গোলাম শামসুল হায়দায়।
মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাহেব নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হিসাবরক্ষক আব্দুল লতিফ (৫৮), অফিস সহকারী মোহাম্মদ হাফিজুল হোসেন (৩৯), এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট জেলহাজত আনোয়ার হোসেন সরকার (৪৫), ওয়াসিম, মোহাম্মদ কাজল মিয়া ওরফে কাজল ও বাবুল ওরফে তপন চক্রবর্তী।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোহাম্মদ শামসুল আলম (৩২) ও মোহাম্মদ রাজন মিয়া।
বিচারক তার রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে রানা মিয়া ওরফে রানা রায় ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল তৈরি করে অফিসে জমা দেন। পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেন জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাট ও ট্যাক্স কর্তন করে নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সার একটি চেক মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে প্রদান করেন।
পরবর্তীতে এই চেকটি আব্দুল লতিফ হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে থাকা উত্তরা ব্যংকের ৯৬৪ নম্বর চলতি হিসাবে জমা দেন এবং টাকা তুলে আসামি আব্দুল লতিফসহ অন্যান্য আসামিরা ভাগ-বণ্টন করে নেয়।
ঘটনাটি জেনে যান অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দায়। এরপর আসামিরা ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৪৫ মিনেটে এজিবি কলোনিতে তাকে গলা কেটে হ্ত্যা করে।
এ ঘটনার দিনই বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ মামলা দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মতিঝিল থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন এবং ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
আদালত মামলাটিতে মোট ৪৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আবু আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মোহাম্মদ মাহুবুবর রহমান, অ্যাড. মো. জসিম উদ্দিন, অ্যাড. মফিজুল ইসলাম ও অ্যাড. মো. আজহারুল ইসলাম।