নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড দেয়াকে পৃথিবীর ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব অভিযোগে আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তা পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। কারণ সাক্ষীরা তাদের বক্তব্যে জানিয়েছেন, তারা ৩ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার দূরে থেকে ঘটনা দেখেছেন। আর সেটা অবাস্তব।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আনহ্যাপি জাজমেন্ট, আমরা আপিল করবো। এ রায়ে আসামি এটিএম আজহারুল ইসলাম মোটেও ভীত-সন্ত্রস্ত নন। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন। তিনি আমাদেরকে আপিল করতে বলেছেন।’
তাজুল আরো বলেন, ‘একাত্তরে সংগঠিত ঘটনার সময় আজহার ছিলেন ১৭ বছরের যুবক। ১৭ বছরের যুবক কীভাবে পাক সেনাদের নেতৃত্ব দেবেন? অতএব তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা। এ সাজানো ও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। আপিল শেষে তিনি খালাস পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা থাকে যে, আদালত আবেগ, অনুভূতির বাইরে থেকে এবং আদালতে দাখিলকৃত সকল ডকুমেন্টের সঠিক বিশ্লেষণ করে সঠিক বিচার করবেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তথ্য উপাত্তের সঠিক বিশ্লেষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আপিলে এ বিষয়গুলো তুলে ধরবো।’
তাজুল বলেন, ‘এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা মিথ্যাবাদী, কারণ তাদের সাক্ষ্য এবং সেই সময়ের ঘটনা মিলালে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।’
এদিকে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ৩টি অপারাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। যদিও প্রথম অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেটি থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি দুই অভিযোগের মধ্যে একটিতে ২৫ বছর এবং একটিতে পাঁচবছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।